আল ফেরদৌস রানা, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:খোজ নিয়ে জানা গেছে, সীমান্তবর্তী বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ৮নং বড়বাড়ী ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা শেরসেরী। আর এই উপজেলার মাছ-খুড়িয়া (ছুটবেলবাড়ী) গ্রামে ১ ছেলে ও ৩ পতা কে নিয়ে বসবাস করে বৃদ্ধা শেরসেরী।
তার নিজের শেষ সম্বল মাত্র ৫ শতকের বসতভিটা। এই করোনার মহামারির মধ্যে অনেক কষ্টে অনাহারে অর্ধাহারে জীবনযাপন করছে শেরসেরী ও তার পরিবার।স্বামীর নাম ধনীবুলা সেও মারা গেছে।।ছেলেটাও দীর্ঘদিন অসুস্থ্য। ওই ছেলের ঘরে আবার ৩ টা ছেলে। জমি-জমা বলতে তেমন কিছুই নাই।
স্থানীয় পাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা “রানা” বলেন গত কয়েকদিন আগে কথা হয় শেরসেরীর সাথে তিনি কান্না জড়িত কন্ঠে কষ্টের এ কথাগুলো আমাকে জানান,আমরা দীর্ঘ দিন থেকে দেখে আসছি শেরসেরী বেগম অনেক কষ্ট করে চলে তার সংসার। কোনদিন চুলাই রান্না হয়। অনেক দিন না খেয়ে চলে যায় রাত্রী। সে ভাল ভাবে দেখতে পায়না বয়সের ভারে। ভাংগা ও ফাটা চসমার ফ্রেমে দীর্ঘদিন আধো- আলো ? আধো- অন্ধকারে এভাবেই চলে শেরসেরী বুড়ীর জীবন- সংসার।
বৃদ্ধা শেরসেরীর এমন কষ্টের কথা গুলি শুনে তার চশমার বিষয় টা আমি আমাদের জননেতা জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম সুজন ভাইকে জানায়। তিনি শেরসেরীর এমন কষ্টের কথা সুনে তাৎক্ষনাত ওই বৃদ্ধ মা’য়ের চোখের পাওয়ার অনুযায়ী ১টি চশমা আর খাওয়া খরচ হিসেবে নগদ আর্থিক সহযোগিতা করছেন।
নতুন চশমা আর নগদ অর্থ হাতে পেয়ে শেরসেরী আনন্দে যেন জীবন আলোয় ভাসছে তার চোখে মুখে হাসির ঝলক। এই নতুন চশমা দিয়ে আমি আবার সব কিছুই দেখতে পায়।
তিনি দু’হাত তুলে মহান আল্লাহর কাছে দোয়া চাই মাজহারুল ইসলাম সুজনের জন্য এবং তিনি বলেন আল্লাহ যেন ‘সুজন’ বেটা সব সময় ভাল রাখে।।